গ্র্যাজুয়েশন যত সহজ, বেকার জীবন তত কষ্টের!
Published: 2019-04-06 13:48:12 BdST, Updated: 2019-12-16 03:11:40 BdST

এই দেশে গ্রাজুয়েশন করাটা খুব বেশি কঠিন কাজ না। একটু টেনেটুনে হলেও গ্রাজুয়েশনটা করা যায়ই! কিন্তু তারপরই শুরু হয় আসল সমস্যা। সম্ভবত একজন সদ্য গ্রাজুয়েটই বাংলাদেশের সবচেয়ে নিগ্রীহিত মানুষ। যার সহ্যক্ষমতা অপরিসীম! গ্রাজুয়েশন করার পরপরই কেমন করে যেন আশেপাশের লোকজনের মুখ খুলে যায়! ১০ বছর আগের পরিচিত আংকেলও গ্রাজুয়েশনের খবর জেনে যায়। কোন এক অদ্ভুত উপায়ে এই কথাটা কারো কাছে গোপন থাকেনা! সবাই যার যার মতো করে তার মতামত প্রকাশ করে !
বাপ : ভার্সিটির স্যাররা তোরে পাশ করালো কিভাবে! রেজাল্ট কতো?
মা : তোর বাপে ওইরকমই,তার কথা কানে দিস না।চাকরির পড়ালেখা কর।অনেকদিন পর বাসায় আসলি,রাতে কি খাবি বল?
পাশের বাসার আন্টি : বুঝলা বাবা,আমার ছেলে কয়দিন আগেই চাকরি পেলো,১ লাখ টাকা বেতন।
বোন : এইভাবে আর কতদিন?
প্রেমিকা : কিছু একটা তো করো,আমি আর বেশিদিন কিন্তু পারবো না।
বান্ধবী : আমার বিয়ের প্রস্তাব আসছে, ছেলে আমেরিকা থাকে!
বন্ধু-বান্ধব : আয় মামা আড্ডা দেই, ফ্রিই তো আসস।
কাছের বন্ধুরা : চাস নিস না মামা,কিছু একটা হবেই।
আতেল বন্ধু : দোস্ত, ভালো কইরা বিসিএস পড়।এডমিন ছাড়া কোন দাম নাই।
চাকরিজীবি বন্ধু : কিছু একটা করার চেষ্টা কর।
ভাই-ব্রাদার : মিয়া, আর কত আড্ডা দিবেন,এইবার ক্যারিয়ারের দিকে নজর দেন।
দাদা : তোর বাপ কিছু বললে, আমারে বলিস।
দাদি : বাড়ি থেকে ঘুরে যা, পিঠা বানাইসি।
বড় চাচা : সারাজীবন তো ফাতরামিই করলা। এইবার কিছু করো।
ছোট চাচা : টাকা পয়সা লাগলে বলিস।
ফুফু : তোর ফুফারে বলছি তোর কথা।দেখি সে কিছু করতে পারে নাকি।
ফুফা : আর কত ঘুরে বেড়াবা?
নানা : নানাভাই, বাড়িতে আয়। পুকুরে বড় বড় মাছ আছে।
নানি : আমার কথা তোর মনে পড়ে না?
বড় মামা : তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
ছোট মামা : চল,কক্সবাজার থেকে বেড়ায়ে আসি।
খালা : তোর বিকাশে টাকা পাঠাইছি,আজেবাজে খরচ করিস না।
খালু : কি কিছু ঠিক করলা?
কাজিন : ভাই, তোমার সাবজেক্টের চাকরি কেমন?
এলাকার ছোট ভাই : ভাই, এতদিন হইলো চাকরি করবেন কবে?
এলাকার চাচা : তা বাবা, কই চাকরি করতেছো?
দশ বছর আগের পরিচিত আন্টি : কোথাও এপ্লাই করসো? আমার ছেলে তো, সিটি ব্যাংকে আছে।
স্কুলের স্যার : তোরে, পাশ করাইলো কে!
বাপের বন্ধু : বিসিএস, GRE নাকি IELTS?
ভার্সিটির বড় ভাই : কোন একটা ভালো জায়গায় যাও,আমার মতো হয়ো না।
চায়ের দোকানের মামা : মামা, বাকি আছে ৩০০ টাকা। চাকরি করে, গরীবের টাকাগুলো দেন। আর কত বাকি খাইবেন?
চায়ের দোকানের অপরিচিত লোক : ভাই, পাশ করছেন কই থেকে? আমি অমুক কোম্পানিতে আছি।
আগেকার ক্রাশ : পড়াশোনা তো শেষ, কি করছো এখন?
প্রাক্তন প্রেমিকা : কি করছো এখন? আমার স্বামী তো অমুক ব্যাংকের জিএম।
ফেসবুক ফ্রেন্ডস : ভাই ট্রিট কবে হবে?
ইনবক্সের সুন্দরী : ভাইয়া, কোথায় জব করছেন?
আজরাইল : এমনে চললে তোর সুইসাইডের বেশি দেরি নাই!টেনশন নিস না আমি আশেপাশেই আছি।
আমি : ভাইরে, আমারে কেউ একটু শান্তি দেন....
কার্টেসি : বিষাণ সাদিদ
ফটো কার্টেসি : DU Crushes & Confessions
ঢাকা, ০৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস