জিওন আহমেদ, চুয়েট: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) জন্মদিন আজ। ১৯৬৮ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এরপর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনলোজি(বিআইটি), সর্বশেষ ২০০৩ সালে আজকের এই দিনে (১ সেপ্টেম্বর) পায় এক নতুন নাম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। ২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নবযাত্রা শুরু করার পর চুয়েট আজ গৌরবময় পথচলার ২০তম বর্ষে পদার্পণ করল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চুয়েট: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলি ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চুয়েট। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে, রাউজান উপজেলায় এক মনোরম প্রাকৃতিক পাহাড়ি ভূমিতে প্রায় ১৭১ একর জায়গাজুড়ে চুয়েট ক্যাম্পাস। এক ক্যাম্পাসে পাহাড়, সমতলভূমি এবং প্রাকৃতিক জলাশয়ের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে মনোরম এই ক্যাম্পাসে।
চুয়েটের মাত্র ৫ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যেই দেশের একমাত্র খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী বহমান। আর ঘন্টাখানেকের দূরত্বেই মাত্র ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মনুষ্যসৃষ্ট স্বাদু পানির কাপ্তাই হ্রদ। কাপ্তাই হ্রদ ও কর্ণফুলীর তীরবর্তী সমভূমি হওয়ার সুবাদে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পুরোটাই আঁচড়ে পড়েছে এই ক্যাম্পাসে। চুয়েট ক্যাম্পাসের এই ছোট্ট পরিসরে আছে একইসাথে চিরসবুজ প্রকৃতি, সারি-সারি শত প্রজাতির গাছ, বাহারি ফুলের সমাহার, পাখিদের কিচির-মিচির কলতান, পাহাড়-সমতল মিশ্রিত প্রাকৃতিক জলাশয়, পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। প্রকৌশলবিদ্যার অনুকরণে দৃষ্টিনন্দন সব অবকাঠামো ও স্থাপনার এক মনোমুগ্ধকর পসরা এই চুয়েট। স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে গৌরবময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, স্বাধীনতা ভাস্কর্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য মুক্ত মঞ্চ, পাহাড়ি পথ ধরে ঝুলন্ত সেতু প্রভৃতি চুয়েট ক্যাম্পাসের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যকে অনন্য মুগ্ধতা দিয়েছে। এ যেন ১৭১ একরজুড়ে পুরো ব-দ্বীপের বাংলাদেশেরই চিত্রায়ন।
প্রকৌশল বিশ্বের দরবারে চুয়েট: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মাত্র দুই দশকের পরিক্রমায় মূল শহর থেকে দূরে গ্রামীণ জনপদে অবস্থান সত্ত্বেও সীমিত বাজেটের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, জ্বালানী, ভূমিকম্প, জলাবদ্ধতা, ভূমিধ্বস ও পরিবহন-যানজট সহ দেশের তথ্য প্রযুক্তি সহ প্রতিটি খাতে গবেষণায় চুয়েটের শিক্ষক-গবেষকদের ভূমিকা দেশজুড়ে আস্থা তৈরির পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সুনিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স আয়োজন, দেশি-বিদেশি স্কলার ও গবেষকদের অংশগ্রহণে সেমিনার-কর্মশালা-সিম্পোজিয়াম আয়োজন সহ বিভিন্ন শিল্প সংযুক্তি এবং ভ্রমনের মাধ্যমে বিশ্বমানের দক্ষ প্রকৌশলী তৈরিতে অভাবনীয় অবদান রাখছে চুয়েট।
বিশ্বমানের ল্যাব ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, কর্ণফুলী ও হালদা নদী বিষয়ক গবেষণা, বহুবিধ শিল্পসমস্যার সমাধান, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ সেবা প্রদান, শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক কোলাবোরেশনের মাধ্যমে দেশজ প্রযুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে চুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বহিঃর্বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে উচ্চশিক্ষা-গবেষণায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুসরণে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রভৃতিতে সগৌরবের অবদান রাখছে চুয়েট।
বিশ্ববাজারের চাহিদা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পেশাদার প্রকৌশলীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণাকে জনকল্যাণে বিস্তৃত করতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে চুয়েট। চুয়েটের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও দুরদর্শী দিকনির্দেশনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা-গবেষণার অন্যতম সেরা হিসেবে গড়ে তোলার বহুমুখী প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
মনোরম স্থাপনায় চুয়েট পরিবার: চুয়েটে বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ১২টি ডিগ্রিপ্রদানকারী বিভাগসহ মোট ১৮টি বিভাগের পাশাপাশি ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ৩টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে। ১২টি বিভাগে ৯২০টি আসনের (উপজাতি কোটাসহ মোট ৯৩১টি আসন) বিপরীতে প্রায় ৬ হাজার ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। পাশাপাশি ১০০জন পিএইচডি ডিগ্রীধারীসহ প্রায় ৩৩৭ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা এবং প্রায় ৪৩৩ জন কর্মচারী মিলে চুয়েটকে এগিয়ে নেওয়ার ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া চুয়েটের সামগ্রিক উন্নয়নে “চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন শীর্ষক” প্রকল্পের অধীনে ৩৫৯.৯৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট নতুন একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ, প্রায় ২১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ছাত্র হল নির্মাণ, প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও নতুন মেডিকেল সেন্টার ভবন নির্মাণ, ১০তলাবিশিষ্ট অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন, ৫তলাবিশিষ্ট দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন, ১০তলাবিশিষ্ট সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৩তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক মেডিক্যাল সেন্টার ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
চুয়েট যেখানে অনন্য: চুয়েটে ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার ও একটি কেন্দ্রীয় ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি (বিআরটিসি) রয়েছে। এসবের মাধ্যমে সারাদেশে বিবিধ শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে আসছে চুয়েট। চুয়েটে রয়েছে “ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ” নামে দেশের একমাত্র ভূমিকম্প প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া “সেন্টার ফর রিভার, হারবার এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ” নামে দেশের একমাত্র পোতাশ্রয় ও ভূমিধ্বস বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
চুয়েটে প্রতিবছর দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ‘International Conference on Advance Civil Engineering (ICACE)’ চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনেই হয়ে থাকে। এছাড়া যন্ত্রকৌশল বিভাগ ‘International Conference on Mechanical Engineering and Renewable Energy (ICMERE)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) অনুষদ ‘International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ ‘International Conference on Physics for Sustainable Development & Technology (ICPSDT)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ ‘National Conference on Water Resources Engineering (NCWRE)’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স, ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি (আইটিই)- ‘National Conference on Energy Technology, Mechatronics & Industrial Automation (NCETMIA)’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স প্রভৃতি আয়োজন করে আসছে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে চুয়েট: প্রকৌশল শিক্ষা অন্যান্য শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে ব্যতিক্রম হওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সারাবছরই আঁটসাঁট একাডেমিক শিউিউলের মধ্যে থাকতে হয়। তবুও চুয়েটিয়ানরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মোটেই পিছিয়ে নেই। চুয়েটের ১৭১ একরের ভূমিতে নিবন্ধনকৃত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা অন্তত ২০টি। সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- চুয়েট সাংবাদিক সমিতি, চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, চুয়েট চলচ্চিত্র সংসদ, ভাষা ও সাহিত্য সংসদ চুয়েট, রোবটিক চর্চা ও গবেষণামূলক সংগঠন- ‘রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন’, মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণা সংস্থা ‘অ্যান্ড্রোমেডা স্পেস অ্যান্ড রোবটিক্স রিসার্চ অরগ্যানাইজেশন’, চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব, চুয়েট কম্পিউটার ক্লাব, চুয়েট স্পোর্টস ক্লাব, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেশাজীবীদের সংগঠন- ‘ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স’, চুয়েট মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্লাস, পরিবেশ সচেতনতামূলক সংগঠন- ‘গ্রিন ফর পিস’, সাংস্কৃতিক সংগঠন- ‘জয়ধ্বনি’, ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন।
এদের মধ্যে চুয়েট সাংবাদিক সমিতি সার্বক্ষনিক চুয়েট এবং চুয়েটের কার্যক্রমকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তুলের ধরার মাধ্যমে আপোষহীন ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করে আসছে । প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটের গবেষণা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাবনাগুলোকে মাতৃভাষায় তুলে ধরতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচিত করে তুলেছে।
এছাড়াও চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটিও সম্প্রতি জাতীয় বিতর্ক উৎসব PCDF-২০১৯ এর চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ টেলিভিশন আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর চ্যাম্পিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ৭বার চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার রানার্স-আপ হয়। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসবে চুয়েটের ‘জয়ধ্বনি’ ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ২০১০ রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়া গ্রিন ফর পিস’র বছরজুড়েই পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম তো আছেই। পাশাপাশি বহিঃর্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রোবটিক চর্চা এবং মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণার সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে আরএমএ এবং অ্যাসরো’র শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে, রোবট গবেষণায় চুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই দেশ-বিদেশ হতে কোন না কোন সাফল্য নিয়ে আসছেন।
প্রকৌশল ভর্তিতে পছন্দের শীর্ষে চুয়েট: বাংলাদেশের ৪টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এককভাবে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নিলেও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) সমন্বিত স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল হওয়ার স্বপ্নকে সহজতর করে তুলেছে । ২০২২ এর স্নাতক ভর্তি পরিক্ষাতেও চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে এই তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের ক্যাম্পাস চুয়েট: দেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রায় ১১৭.৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর” চুয়েটের দৃশ্যমান সাফল্যের ধারায় নতুন পালক যুক্ত করেছে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৬ই জুলাই ২০২২ খ্রি. আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করেন।
চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ যে কোনো ধরনের সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারবে এবং সেটাকে একটি প্রোডাক্টিভ পণ্য হিসেবে তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব ইনকিউবেটর কর্তৃপকক্ষের। এটি চুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এই ইনকিউবেটরের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্ম ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
গবেষণা, টেকসই উন্নয়ন, সংস্কৃতি, রাজনীতি সহ প্রতিটি খাতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে লাল সবুজের পতাকা বুকে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চুয়েট।
ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: