কুষ্টিয়া লাইভ: মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক কাবিননামায় সই করিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী তরুণী কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এ বছর স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
অভিযুক্ত তরুণের নাম তিতাশ। তিনি পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি। স্থায়ীভাবে বরিশাল জেলায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বুধবার (১ জুন) ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর মা বলেন, স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। সে সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা ও দড়ি ছিল। তারা বাড়িতে ঢুকেই আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। বলে- তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। নয়তো মেরে ফেলা হবে। কিন্তু আমি রাজি না হলে তারা আমাকে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় জোর করে সই করিয়ে নেয়। আমরা এ বিয়ে মানি না। তারা থানায় মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বলে আসছে। কিন্তু আমি কখনও রাজি হইনি। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মা রাজি না হওয়ায় তাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিননামায় সই করেছি। সই করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা, ০১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: