চট্টগ্রাম লাইভ: চট্টগ্রামে এক শিশুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছে ওই শিশুকন্যা আলিনা ইসলাম আয়াত। পরে মুক্তিপণের জন্য ছয় বছর বয়সী এ শিশুকে ছয় টুকরো করার পর তা কাট্টলী সাগরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল ২৪ নভেম্বর রাতে সিপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতেই হত্যার কারণ ও লাশ ছয় টুকরো করে সাগরপারে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। আবির আলী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন৷
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, আবির আলী নামে সাবেক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর সবকিছু স্বীকার করে নেয় আবির আলী।
ইলিয়াস খান বলেন, আয়াতের লাশ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা সরঞ্জাম (বটি ও অ্যান্টি কাটার) আমরা আবির আলীর বাসা থেকে উদ্ধার করেছি। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগরপাড়ে আছি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোনো হদিস মিলেনি। ওই সময় আয়াতের নিখোঁজ সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছিল দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। অবশেষে ৯ দিন পর শিশু আয়াতের নিখোঁজ রহস্যের জট খুলল। তবে আর বাড়ি ফিরবে না আয়াত। বাবা-মায়ের কোলে উঠবে না আদরের সোনামণিটা।
ঢাকা, ২৫ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: