Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি, মামলা, নেপথ্যে প্রেম

প্রকাশিত: ৬ আগষ্ট ২০২২, ২২:১২

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি

জবি লাইভ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থগিত ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের দুই গ্রুপে প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এতে সম্পাদক গ্রুপের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন আহত হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন। নথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে এ মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির গ্রুপের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওশের বিন আলম ডেভিড, একই শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের জাহিদুল ইসলাম হাসান ও পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পন সাহা শান্তসহ আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান মুন গত ৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে আসলে এক নাম্বার আসামি নওশের বিন আলম ডেভিড জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইটের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম হাসানসহ আরো ৪ থেকে ৫ জন মিলে ডেভিডের প্রেমিকার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলাকে কেন্দ্র করে অতর্কিতভাবে মুনের উপর হামলা করে। পরে ওইদিন দুপুর ১ টায় মুন তার বন্ধুদের নিয়ে কোতয়ালী থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আসামি ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম ও অর্পন সাহা শান্তসহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঠা নিয়ে পুনরায় মুনসহ তার বন্ধুদের উপর হামলা করে মারধর করে।

এছাড়া ওই দিনই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে ফের মেহেদী হাসান মুনের উপর অর্পন সাহা শান্তসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন মিলে ধারালো চাকু ও হাতুরি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে মুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত ১ জুন জবি ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি স্থগিত হওয়ার পেছনে ক্যাম্পাসের সকল টেন্ডার সভাপতি ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আকতারের নিয়ন্ত্রণে রাখা, মীর কাশেমের প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার দেয়া, রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি ও চাঁদাবাজিকে দুষছেন অন্যান্য পদধারী নেতারা।

ঢাকা, ০৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআই//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ