Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শেকৃবিতে ৬ মাস ধরে আটকে আছে বৃত্তির টাকা, ফাইল লাপাত্তা

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বার ২০২২, ০৯:২৯

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেকৃবি লাইভ: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টারে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০১) থেকে বৃত্তির টাকা সেমিস্টার প্রতি ১২০০ রয়েছে। কিন্তু কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ শিক্ষার্থীদের ফলাফল ৬ মাস আগে প্রকাশিত হলেও এখনো বৃত্তির টাকা পায়নি উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দপ্তরে চলে ধীর গতির কাজ। অর্থ সংক্রান্ত হলে আরো বাড়ে ভোগান্তি। এসবের ফলে সঠিক সময়ে বৃত্তি, কোন বিষয়ের অনুমোদন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অর্থসংক্রান্ত ফাইল সহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

খোজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের জুন মাসে। ফলাফল প্রকাশের ৬ মাস পরেও বৃত্তির টাকা পায় নি পাশকৃত ২৯৮ জন শিক্ষার্থী।

লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জুন মাসে। এখন লেভেল-২ সেমিস্টার-২ এর পরীক্ষা চলছে অথচ এখনো আমরা লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির টাকা পাইনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির ফাইল বিভিন্ন দপ্তরে অনুমোদিত হয়ে একাডেমিক এন্ড স্কোলারশিপ দপ্তরে আসে। এরপর ওই দপ্তর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে একাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স বিভাগে অনুমোদনের জন্যে পাঠায়। এখান থেকে অনুমোদিত হয়ে ফাইলটি পরবর্তী দপ্তরে যাবে। তবে প্রতিবেদকের সামনে অনেক খুঁজেও বৃত্তির ফাইলটির বের করতে পারেননি একাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স দপ্তরের সহকারী পরিচালক নাহিদা পারভীন।

একাডেমিক এন্ড স্কোলারশিপ শাখার সহকারী রেজিষ্টার কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কবে নাগাদ বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীরা পাবে এর কোন নির্ধারিত সময় নেই। ফলাফল আমাদের নিকট আসার পরেই কাজ শুরু হয়। আমরা প্রথমে ম্যানুয়ালি বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা করি। তারপর ক্রমান্বয়ে রেজিষ্টার, ডিন, উপাচার্যের কাছে অনুমোদিত হয়ে আমাদের নিকট আবার আসে। আমরা সেটিকে অর্ডার হিসেবে ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস দপ্তরে পাঠায়। তারা বিল তৈরি করে এবং সর্বশেষে হল প্রভোষ্ট বৃত্তির টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে হল ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছে দেয়। এতগুলো দপ্তর ঘুরে শিক্ষার্থীদের হাতে যেতে বেশ সময় লেগে যায়।

তিনি আরো বলেন, অল্প সময়ে বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছানোর ব্যাপারে সবকিছু ডিজিটাল ও সফটওয়্যার ভিত্তিক করার জন্যে উপরমহলে প্রস্তাব দিয়েছি কিন্তু এখনো অনুমোদন পায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার শেখ রেজাউল করিম বলেন, বৃত্তির ফাইল আটকা আছে এটি আমার জানা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পেতে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকা উচিত। আমি এটি নিয়ে দ্রুত কাজ করব। আশা করি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের বৃত্তির টাকা পাবে।

ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসআর//এমএ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ