Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিজয় অর্জিত হোক সংবেদনশীলতা দিয়ে

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বার ২০২২, ২১:৫৯

বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

ডিসেম্বর হলো বিজয়ের মাস, বাঙালি জাতির গৌরব ও আনন্দের মাস। কেননা দীর্ঘ নয় মাস প্রাণপণ লড়াই করার পর এই মাসেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে রুপ লাভ করেছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে রুপান্তরিত হওয়া ও বিজয় লাভের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলো বাংলার তরুণ সমাজ। বিজয়ের একান্নতম বছরে এসেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলার তরুণরা। এই বিজয়ের মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণদের ভাবনা তুলে ধরেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা।

বিজয়ের চেতনা উজ্জীবিত হোক

লাল সবুজের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে নানা শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্যের ইতিহাস। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙালি জাতি সাড়া দেয়। দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পর বিজয়ের উল্লাস বাঙালির জীবনে এক অবিস্মরণীয় সাফল্যের দিন।
মোঃ আবদুল্লাহ আলমামুন

তাই বিজয় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের জীবনে ছড়িয়ে নিতে হবে। একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বিজয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নতির জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসঙ্গে অবদান রাখতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুখী, সুন্দর জীবনযাপন করে, এটাই কাম্য। আর ৫১ তম বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয়তাবাদী চেতনা, উল্লাস ছড়িয়ে যাক প্রতিটি মানুষের জীবনে।

মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

বিজয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক

স্বাধীনতা মানে যেমন মুক্তি ঠিক তেমনি বিজয় মানে হলো স্বাধীনতাকে উদযাপন করা, মুক্তি কে উপলব্ধি করা। ডিসেম্বর মাস যেন প্রতিটা বাঙালির কাছে অন্যরকম আবহাওয়া নিয়ে আগমন করে। প্রতিটা বছরের ডিসেম্বর যেন নতুন করে বাঙালি কে স্মরণ করিয়ে দেয় বিজয়ের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই বিজয় দিবস উদযাপনের মূল মন্ত্র। আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের মাধ্যমে ৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে যে বিজয় বাঙালিরা অর্জন করেছিলো সেই বিজয়ের ধারা যেন ক্রমবর্ধমান থাকে।
সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি

উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন বাঙালিরা স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে তাদের বিজয়কে ছিনিয়ে আনতে পারে। কোন পরাধীনতার কাছে বা অপশক্তির কাছে বাঙালী যেন তাদের বিজয়কে ধুলিস্যাৎ হতে না দেয় সেইদিকে আমাদের প্রত্যেকের নজর থাকা উচিত। এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের আজকে তরুণ প্রজন্মের মনে। যে বিজয় বাঙালি অর্জন করেছে সে বিজয় যেন সর্বদাই গতিশীল থাকে বাঙালির মনে, প্রাণে, চেতনায় এবং বিশ্বাসে।

সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি
শিক্ষার্থী, শিক্ষাও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বিজয়ের উল্লাস প্রতিটি প্রাণে

ডিসেম্বর শব্দটা শুনলেই আনন্দে বুক ভরে ওঠে। এটাই সেই মাস যে মাসে আপামর জনতা পেয়েছে তাদের স্বাধীনতা। পৃথিবীর বুকে আজ স্থান করে নিয়েছে আমার লাল সবুজের পতাকা। বাঙালির জীবনে এক অভাবনীয় সাফল্য হলো বাংলার বিজয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস এলেই বিজয়ের উল্লাসে ভরে উঠে প্রতিটি প্রাণ।
পাপুন অধিকারী

বিজয়ের পর থেকে এই একান্ন বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে গেছে, নাম লিখিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। বিজয়ের উল্লাস প্রতিক্ষণে, প্রতি প্রাণে অনুরণিত হবে এইটাই প্রত্যাশা।

পাপুন অধিকারী
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ।

বিজয় আমার অহংকার

যেকোন বিজয়ের পিছনেই থাকে অসীম আত্নত্যাগ। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি বিজয়ের স্বাদ। হারিয়েছি অনেক দেশপ্রেমিকদের। যারা তাদের জীবন দিয়ে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছিল। তাদের এই আত্নত্যাগ যে শুধু বিজয় এনেছে এমনটা নয়, সাথে আমাদের জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটিয়েছে।
মাহফুজা হোসেন

আমরা বুঝতে পেরেছি ঐক্যের গুরুত্ব। বুঝতে পেরেছি স্বাধীনতার গুরুত্ব। বিজয়ের চেতনা যেন বাঙালির রক্তে মিশে গিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অনুপ্রানিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মহান বিজয় দিবস।

মাহফুজা হোসেন
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে তারুণ্য

বাঙালি জাতির স্বপ্নের নাম হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যে চেতনা বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিলো পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে দেশকে শোষণমুক্ত করতে তা এখনো বুকে ধারণ করে বাংলার তরুণরা। মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করতে সবচেয়ে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেছিলো তরুণরা।
চৈতি আলম মিনু

বর্তমান তরুণ সমাজ সেই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু সেই চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বাংলাদেশের সব অভূতপূর্ব অর্জনগুলোর পেছনে রয়েছে তরুণদের ভূমিকা। তরুণদের হাত ধরেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘটছে পরিবর্তন, হচ্ছে উন্নয়ন। আগামীতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে তরুণরা।

চৈতি আলম মিনু
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

বিজয় অর্জিত হোক সংবেদনশীলতা দিয়ে

প্রতিটি মানুষের মাঝেই থাকে আত্মকেন্দ্রিকতার মনোভাব। নিজের অবস্থান,নিজের মতামতের ভিত্তিতে সে অবস্থান করে নিতে চায় নিজ গোত্রের কাছে কিংবা সমাজের কাছে।একটি দেশও চায় স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব এবং একটি স্বকীয় পতাকা।হাজারো ত্যাগ- তীতিক্ষা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি লাল সবুজের সোনার বাংলা। বিজয়ের পর থেকেই দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।
মেহেদি শতাব্দি

সবার একাগ্রতা ও সহযোগিতাপূর্ন মনোভাবের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। দেশের সফলতা মানেই দশের সফলতা। দশের সফলতা নির্ভর করবে ব্যক্তিসফলতার উপর।একজন ব্যাক্তি সফল হওয়া মানে দেশ এগিয়ে যাওয়া। স্বাধীন দেশের সংগ্রামী নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত অন্যের সফলতায় হিংসা না করা ও বাধা হয়ে না দাঁড়ানো। মনে রাখতে হবে এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুকণা নিয়েই গঠিত হয় সাগর। এমন সংবেদনশীল মনোভাব নিয়েই দেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এগিয়ে চলুক আমার দেশের মানুষ, এগিয়ে চলুক লাখো মনুষের রক্তে রঞ্জিত হওয়া আমার সোনার বাংলা।

মেহেদি শতাব্দি
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ।

বিজয়ের গৌরব টিকিয়ে রাখতে হবে

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ বাঙালির প্রাণের বিনিময়ে যে গৌরবের বিজয় আমরা অর্জন করেছি তা ধরে রাখতে হবে। কেননা শুধু বিজয় অর্জন ই জাতির মূল উদ্দেশ্যে নয়। সকল অসামঞ্জস্যতা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসন কাটিয়ে উঠে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমেই অর্জিত বিজয়ের গৌরব ধরে রাখা সম্ভব।
অভি সুলতানা

আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে তরুণ সমাজ। তাই তরুণ সমাজের শক্তির মাধ্যমে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারলে বিজয়ের গৌরব টিকে থাকবে যুগের পর যুগ।

অভি সুলতানা
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ