
লাইভ প্রতিবেধক: মা ইলিশের প্রজনন ছড়াতে কোনো ধরনের নির্বিঘ্ন যেন না ঘটে তাই, দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরছেন সাগরে থাকা জেলেরা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটেরর মৎস্য গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমায় মা ইলিশ সবচেয়ে বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই বড় পূর্ণিমার দিন পড়েছে চলতি মাসের ৯ অক্টোবর। আবার একই মাসে অমাবস্যায় বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই অমাবস্যা দিন পড়েছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এ কারণে বড় পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তারিখ ঠিক রেখে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে ২২ দিন মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেলেরা বলছেন, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এ চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঘূর্ণিঝড়সহ বেশ কয়েকটি নিম্নচাপও ছিল। তাই অল্প কিছুদিন ইলিশ শিকার করতে পারলেও লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। তাই পরিবার চালাতে চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব গণমাধ্যমকে বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। এ ২২ দিন কোনোভাবেই সাগর ও নদীতে কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।
বাংলাদেশে মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর দাবি, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের জেলেরা মাছ না ধরলেও দেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করবে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা। তাই ভিনদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে ব্যর্থ হবে এ নিষেধাজ্ঞা।
ঢাকা, ০৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: