
মনিরুজ্জামান মাজেদ, ঢাবি: আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন। এতদিন সম্মেলন কবে হবে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও এখন সবার প্রশ্ন নেতা হতে যাচ্ছেন কারা? বিশেষ করে কেন্দ্রীয় কমিটি দুই পদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দুটি শীর্ষ পদ নিয়েই আলোচনা এখন সরগরম। কারা নেতৃত্বে আসবে এটি নিশ্চিত করে বলা কারো পক্ষেই সম্ভব না হলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিগত কয়েক দশকের সম্মেলনের ইতিহাস বিশ্লেষণ দেখা যায় একেক সম্মেলনে একেক রকম মানদন্ডে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। কখনো রাজপথের ত্যাগ, কখনো পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, কখনো অঞ্চল ভিত্তিক বিবেচনা, আবার কখনো ক্লিন ইমেজ, মেধাবী ইত্যাদি।
ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে আলোচনায় থাকা প্রার্থীরা হলেনঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক অভেদ্য দূর্গের নাম বৃহত্তর ময়মনসিংহ। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও এসএম হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী, কেন্দ্রীয় কমিটির উপ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ তপন, শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার, খাইরুল হাসান আকন্দ এবং রাশিদ শাহরিয়ার উদয় প্রাথমিকভাবে আলোচনায় আছেন।
মেহেদী হাসান তাপসের পিতা মুক্তিযোদ্ধা এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তার দীর্ঘ দিনের পদচারনার কারনে তিনি ভালোভাবে আলোচনায় আছেন।
খাইরুল হাসান আকন্দের পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে আছেন।
এস এম রাকিব সিরাজী ডিবেটিং এর কারনে ক্যাম্পাসে অনেকটা আলোচিত মুখ। তিনি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন।
নেয়ামত উল্লাহ তপনের দাদা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন এবং নানা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বর্তমানে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক। তারা বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক, চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, দাদা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং নানা বীর মুক্তিযুদ্ধা কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য।
শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক। তিনি ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে (১৯৭১-১৯৭৫) মাদ্রাসা শিক্ষার প্রকৃতি ও উন্নয়ন: একটি ঐতিহাসিক অধ্যয়ন’ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফিল করছেন। তার পিতা অধ্যক্ষ শেখ জামাল উদ্দিন বর্তমানে সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তারাকান্দা উপজেলা শাখা। সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা ।প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, শেখ মুজিব কলেজ, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ।তিনি শেখ মুজিব কলেজ,শেখ হাসিনা মহিলা কলেজ সহ এলাকায় ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার দাদা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালক। নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ মোহাম্মদ আলী, সাবেক সহ-সভাপতি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
এদিকে নেতৃত্বে আনার ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনা করলে সোহান খান এই অঞ্চল থেকে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিতীয়বারের মত সহসভাপতি আছেন।
রশিদ শাহরিয়ার উদয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক এবং কার্জন হল এলাকার হওয়াতে তার নামও আলোচনায় আছে বলে জানা যায়।
আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা।
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: