Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
ভিসির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত...

রাবিতে ১০ ঘন্টা অনশনে অসুস্থ ৭ শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বার ২০২২, ০৯:২৭

রাবিতে ১০ ঘন্টা অনশনে অসুস্থ ৭ শিক্ষার্থী!

রাবি লাইভ: অবশেষে অনশন ভেঙেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ভিসি গোলাম সাব্বির সাত্তারের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।

এদিকে অনশনে বসা ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, নুসরাত প্রিয়া, মনিজা আক্তার, রুমানা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, সালমা, মনি,চামেলী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনশনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, প্রো ভিসি, সুলতান উল ইসলাম, প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর আশাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরসহ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত হন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ফলাফল পুনর্মূল্যানের আশ্বাস দেন ভিসি। পরবর্তীতে ভিসি,প্রো ভিসি শিক্ষার্থীদের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙিয়ে দেন।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, একটি বিভাগের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলো বিভাগ নিজেরাই মীমাংসা করতে পারে। বিভাগের অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিয়ে কথা বলা দুঃখজনক ব্যাপার। আমি তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তারা রিপোর্ট জমা দিলে আসল কারণ খুঁজে বের করতে পারব। পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।

ভিসি আরো বলেন, আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি ওদের রেজাল্ট বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান হবে।

এর আগে, ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচীতে বসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৩৫ জন নিয়মিত ও তিন জন অনিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। গত ২২ এপ্রিল তাদের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে ওই মাসেই শেষ হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৩৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৩০ জনের ফল প্রকাশিত হয়। ৬ জন নিয়মিত ও দুজন অনিয়মিত শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত হয়নি এবং ছয় জন শিক্ষার্থী একটি করে কোর্সে ফেল দেখানো হয়েছে। তবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃত ভাবে ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ থাকলেও নির্দিষ্ট ভাবে কোন শিক্ষকের নাম বলেননি তারা।

এর আগেও কয়েকদফা দাবিতে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সেইসাথে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ