Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com
মাদার বখশ হল

রাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির সঙ্গে সম্পাদকের মারামারি

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল

রাবি লাইভ: এবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মাঝেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে আবারও। ছাত্রলীগের একই হলের দুই নেতাকে ঘিরে এই ঘটনার সূত্রপাত। একজন হলেন হলের সহ-সভাপতি অন্যজন সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হলে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলের ওপর হাত রাখা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় হলের গেটে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকালে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিকের বাইকে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্না। সেসময় রাথিক মন্নার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং মুন্নাকে বলে ‘ক্যাম্পাসে এত সাইকেল, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কি আমার মোটরসাইকেল চুরি করার চিন্তা করছিস’। তখন বিষয়টা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর দুপুর ৩টার দিকে মুন্নার সঙ্গে হলগেটে আবার রাথিকের দেখা হয়। তখন মুন্না রাথিককে সকালের আচরণের কারণ জানতে চায়। আবার একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এ সময় মুন্নার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।

তাৎক্ষণিক রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাকে মারধরের বিষয়টি অবহিত করে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসহ ১০-১২ নেতা কর্মী প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করেন। মুন্না আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাদার বখশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

আলফাত সায়েম জেমস মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, মাদার বখশ হলে একটা ঝামেলা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব হলের সভাপতি এবং সাধারণ-সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হই। পরবর্তীতে সেখানে তেমন কোনো বড় বিষয় লক্ষ্য করিনি। কোনো মারামারির ঘটনাও ঘটেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমাদের কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমি পরে দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, এ বিষয়ে আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তাদের সাংগঠনিক ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তারা বলেছেন, তারা নিজেরাই বিষয়টির সমাধান করবেন।

ঢাকা, ২৯ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ