
স্পোর্টস ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি হয়ে যায় অলিখিত নকআউট। যে দল জিতবে সে দলই খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার অ্যাডিলেডে এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কবলে পড়ে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হলো না টাইগারদের। ফলে সাকিবদের ইতিহাস গড়া হলো না। শেষ পর্যন্ত গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো পাকিস্তান।
রোববার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভার ১ বলেই ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তাসকিন আহমেদের ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন। যার ফলে পাক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান বেঁচে যান। এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে বড় জুটিও গড়ে ফেলেন তিনি।
সহজ লক্ষ্য হলেও সেমিফাইনালে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ সতর্ক ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। কিন্তু টানা দুই ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন টাইগার বোলাররা।
পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে ফেলেন ইনিংসের ১১তম ওভারে ফেরেন বাবর আজম (২৫)। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ আউটের ফাঁদে বিদায় নেন তিনি। এরপরেই দলীয় ৬২ রানে পেসার এবাদত হোসেন আঘাত হানেন পাক শিবিরে, ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলে ৩২ রানে রিজওয়ানকে বিদায় করেন সিলেটের এই পেসার।
জোড়া উইকেট হারানো পাকিস্তানকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছিল টাইগার। কিন্তু মোহাম্মদ নওয়াজ ও তরুণ মোহাম্মদ হারিস মিলে সে আশা নিরাশায় পরিণত করে দেন। ফলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার ইতিহাস গড়তে পারল না সাকিবরা।
ঢাকা, ০৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: